সভাপতির বক্তব্য

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক নান্দনিকতায় সমৃদ্ধ জনপদ রাউজান। হালদা, কর্ণফূলী ও সর্ত্তা নদী বিধৌত এ অঞ্চলের রয়েছে শত বছরের ইতিহাস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সশস্ত্র সংগ্রামের অগ্রনায়ক মাষ্টার‘দা সূর্য সেন, কবি নবীন চন্দ্র সেন এবং আরো অনেক প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব আজ সমাজের বিভিন্ন স্তরে ও স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে তাঁদের মেধা ও মননের দীপ্ত স্বাক্ষর রেখে গেছেন। শহীদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহও এই রাউজানের একজন শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক, মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

এই এলাকার নারী সমাজের পশ্চাদপদতা, সমাজে নারীর প্রতি অবহেলা, নারী সমাজের অজ্ঞানতা অনুভব করে এই মহান পুরুষটি শুধুমাত্র নারী সমাজের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৬০ সালের ৩রা জানুয়ারি কুণ্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যামন্দির। যুগের প্রয়োজনে সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নারী জাগরণের এই মহান কর্মবীরের অকৃত্রিম ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ এতদ্ঞ্চলের নারী সমাজকে এনে দিয়েছেন জ্ঞানার্জনের এক অভাবনীয় সুযোগ। ছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ও সমৃদ্ধ করে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে তিনি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন “কুণ্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্যালয়।” শহীদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে অবহেলিত ও পশ্চাদপদ নারী জাতির মাঝে জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার যে চেষ্টা করে গেছেন এর ফলে শুধু তিনি নারী জাতির মাঝে অমর নন – তিনি প্রকৃত মানব জাতির মহান কল্যাণে অমর হয়ে আছেন।